রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৭:২৮ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
‘কিরগিজস্তানকে আমাদের গভীর উদ্বেগ জানিয়েছি, কোনো বাংলাদেশী শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়নি’ কালশীতে পুলিশ বক্সে আগুন অটোরিকশা চালকদের স্বেচ্ছাসেবক লীগের র‌্যালি থেকে ফেরার পথে ছুরিকাঘাতে কিশোর নিহত দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চরম তাপপ্রবাহ আসন্ন বিপদের ইঙ্গিত দ্বিতীয় ধাপে কোটিপতি প্রার্থী বেড়েছে ৩ গুণ, ঋণগ্রস্ত এক-চতুর্থাংশ: টিআইবি সাড়ে ৪ কোটি টাকার স্বর্ণসহ গ্রেপ্তার শহীদ ২ দিনের রিমান্ডে ‘গ্লোবাল ডিসরাপ্টর্স’ তালিকায় দীপিকা, স্ত্রীর সাফল্যে উচ্ছ্বসিত রণবীর খরচ বাঁচাতে গিয়ে দেশের ক্ষতি করবেন না: প্রধানমন্ত্রী জেরুসালেম-রিয়াদের মধ্যে স্বাভাবিককরণ চুক্তির মধ্যস্থতায় সৌদি বাইডেনের সহযোগী ‘ইসরাইলকে ফিলিস্তিন থেকে বের করে দাও’
আসামের ডিটেনশন ক্যাম্পে আরেক বন্দীর মৃত্যু, মৃতের সংখ্যা ২৯

আসামের ডিটেনশন ক্যাম্পে আরেক বন্দীর মৃত্যু, মৃতের সংখ্যা ২৯

স্বদেশ ডেস্ক:

ভারতজুড়ে সিএএ বিরোধী আন্দোলন চলছে। পশ্চিমবঙ্গ, কেরালাসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের সরকার ডিটেনশন ক্যাম্প নির্মাণের কাজ বন্ধ বলে ঘোষণা করেছে। বিতর্কের মাঝেই গৌহাটি মেডিক্যাল কলেজে ডিটেনশন ক্যাম্পের এক বন্দির মৃত্যু হলো। দশ দিন আগে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। এই নিয়ে আসামের ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি মৃত্যি সংখ্যা পৌঁছাল ২৯-এ। গোটা রাজ্যে প্রায় হাজার জন আসামের বিভিন্ন ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি।

এর আগে আসামের ডিটেনশন ক্যাম্পে মানসিকভাবে অসুস্থ দুলাল পালের মৃ্ত্যুর ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। মৃত্যুর পর বেশ কয়েক দিন কেটে গেলেও তার পরিবারের লোকজন লাশ নিতে অস্বীকার করেন। দুলাল পাল নামের ওই ব্যক্তিকে বেআইনি বিদেশিদের ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ করে পরিবার। ২০১৭ সালের ১১ অক্টোবর থেকে তেজপুরের ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হয়েছিল দুলাল পালকে। গত সেপ্টেম্বর মাসে তাকে অসুস্থতার জন্য গৌহাটি মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালে ভর্তি করা হয়। দুলাল পালের আত্মীয়রা বাংলাদেশের বেআইনি বিদেশির লাশ নিতে অস্বীকার করে বলেন, ‘এই মৃতদেহ পরিবারের হাতে না দিয়ে সে দেশেই পাঠিয়ে দেয়া হোক।’

বর্তমানে আসামে ৬টি ডিটেনশন ক্যাম্প রয়েছে। এগুলো জেলা সংশোধনাগারের সঙ্গে যুক্ত। প্রত্যেকটিতেই প্রায় হাজার জন করে থাকতে পারেন। গোয়ালপাড়ায় সপ্তম ডিটেনশন ক্যাম্পটি নির্মিয়মান অবস্থায় রয়েছে। আসাম সরকারের দাবি অনুসারে, ফরেন ট্রাইবুইবুনালে যে ২৪ জনকে বেআইনি অনুপ্রবেশকারী হিসাবে গণ্য করা হয়েছে গত তিন বছরে তাদেরই মৃত্যু হয়েছে।

গত জুলাইতে আসামের পরিষদীয় মন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারী বিধানসভায় বলেছিলেন রাজ্যের ৬টি ডিটেনশন ক্যাম্পে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০১৮-১৯ সালের জুলাই পর্যন্ত প্রাণ গিয়েছে ৭ জনের। ২০১১ ও ২০১৬ সালে মৃত্যুর সংখ্যা যথাক্রমে ছিল ১ এবং ৪। অসুস্থতার কারণেই এই মৃত্যু বলে সরকারি তথ্যে প্রকাশ।

বিধানসভার রিপোর্ট অনুসারে মৃতদের মধ্যে মাত্র ২ জনের ঠিকানা বাংলাদেশের। বাকিদের বাড়ির ঠিকানা আসামেরই। রাজ্য বিধানসভায় মন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারী বলেছিলেন, ‘ক্যাম্পে আটক অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানেই মৃত্যু হয় তাদের। কোনো লাশই বাংলাদেশে পাঠান হয়নি।’
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877